গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় প্রদীপ সহ পুলিশের ৩ সদস্য কে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রদীপ ছাড়া বাকি দুই পুলিশ সদস্য হলেন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং উপপরিদর্শক নন্দ-দুলাল। এর আগে কক্সবাজারের হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে গত ৬ অাগস্ট বিচারক তাদের সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, র্যাবের একটি দল মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে গিয়ে ওই তিন আসামিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এদিকে সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ওই তদন্ত দলের সদস্যরা সোমবার কক্সবাজার জেলা কারাগারে গিয়ে প্রদীপ,লিয়াকত সহ আটককৃত পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
মামলা হওয়ার পর ওসি প্রদীপকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে চাকরি থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া ওই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করার মামলার তিন সাক্ষী এবং ঘটনার দিন চেকপোস্টে দায়িত্বে দায়িত্বে থাকা তিন এপিবিএন সদস্যকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে।