এসএম তারুণ্য নাহিদ রায়পুরা উপজেলা (নরসিংদী) প্রতিনিধি:
সিগারেট প্যাকেটের ছবির রূপকার সংগঠন “সারডা সোসাইটি ” উদ্যোগে দূর্ঘটনা রোধে স্পীড ব্রেকারে ম্যাকিং পেইন্ট অংকন করা হয়।দেশের সকল বৈধ অবৈধ স্পীড ব্রেকারে (গ্রামীণ ভাষায় আইল্যান্ড), যার যার বাড়ির সামনে নিজ খরচে বাধ্যতামূলক রোড মার্কিং পেইন্ট (মহাসড়কে সাদা ও লাল রং) অংকন করার জন্য সরকারের প্রতি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা আশা করছি।
সারড়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, রাত ২ টার সময় জনৈক মহিলার বাচ্চা ডেলিভারি করতে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সিএনজি/ এ্যাম্বুলেন্সকে ১০০/১০০ তথা সর্বোচ্চ গতিতে হাসপাতালে যেতে বললো। কিন্তু রাত ১২ টার সময় আপনার আমার মতো জনৈক ব্যক্তিরা রাস্তায় স্পীড ব্রেকার তথা গ্রামীণ ভাষায় আইল্যান্ড দিয়ে বসল। এটা কি আমরা কেউ জানি? নাহ্, ফলাফল দূর্ঘটনা! ঐ মহিলার পেটের বাচ্চাটি বাঁচবে নাকি মরবে, সেটা মহান আল্লাহ পাক জানেন।
সেই মহিলাটি আপনার আমার বউ হতে পারে, আত্নীয় স্বজন হতে পারে, নয়কি? তখন বুঝবেন এর ব্যথা। আমরা বাংলাদেশে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু দেখতে চাই না, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া।
আপনি ডলার $ খরচ করে স্পীড ব্রেকার দিলেন, অথচ টাকা খরচ করে রং দিতে পারলেননা? যেকোন গাড়ির নতুন ড্রাইভার বিশেষ করে হোন্ডা, রাতে হঠাৎ করে রাস্তার স্পীড ব্রেকার (আইল্যান্ড) না দেখতে পাওয়ায়, দূর্ঘটনা ঘটে, এমনকি মৃত্যুও ঘটেছে।
আমরা বাংলাদেশে রোড মার্কিং পেইন্ট প্রদর্শন ব্যতীত কোন স্পীড ব্রেকার (আইল্যান্ড) দেখতেচাইনা, টেকনাফথেকেতেঁতুলিয়া। তাছাড়া, ৩ স্তর বিশিষ্ট স্পীড ব্রেকার দিতে হবে। একটিদূর্ঘটনাসারাজীবনেরকান্না। অল্প কয়েক বছরের জন্য আমরা পৃথিবীতে এসেছি, কত কাজ করতে হবে ! বাংলাদেশ আমাকে কি দিলো সেটা না ভেবে, জন্মভূমির ঋণ শোধ করতে, জনস্বার্থে এমন কিছু ভালো কাজ করে যেতে হবে; যাতে মৃত্যুর পর বিশ্ববাসী আজীবন স্মরণ রাখে।
এসময় তিনি আরো বলেন,সরকার ভাঙা রাস্তা ঠিক (সংস্কার) করে দিবে ঠিকই, কিন্তু সেটা ১ অথবা ২বছর পর বাজেট পাশ হবার পর। কিন্তু এই মুহূর্তে আপনার বাড়ীর নাম হবে, গর্ত ওয়ালা বাড়ি!! হাসবেন না, এটা লজ্জার হাসি। সামর্থ্য অনুযায়ী সিমেন্টের বস্তায় মাটি ভরে দিয়ে দিবেন। রাস্তা আপাতত ঠিক হয়ে যাবে, কারণ একটা রাস্তা একসাথে ভাঙ্গে, আস্তে আস্তে ভাঙ্গে,যার কারণে যানযট সৃষ্টি হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।