নির্বাচনের হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদ হারানোর ঝুঁকিতে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। এদিকে শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষীপুর-২ আসনের সতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া। তিনি বলেন ইসি থেকে সাড়া না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। গত রোববার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টে রিট করেছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল তার নির্বাচনের হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার সদস্যপদ বাতিল চেয়ে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেন জনাব আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া। গণমাধ্যমে পাপুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসি বরাবর লেখা চিঠিতে বলা হয়, কাজী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল তার নির্বাচনি হলফনামায় স্নাতকোত্তর পাস উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সার্টিফিকেট প্রদান করেন স্নাতকের। তিনি কখনও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের ডিগ্রি অর্জন করেননি। হলফনামায় স্নাতক ডিগ্রির যে সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে, তা ভুয়া এবং বানোয়াট। নির্বাচনি হলফনামায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রদান করে তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতাই হারিয়েছেন। কিন্তু কর্তব্যরত রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক প্রার্থিতা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন এবং তিনি নির্বাচিতও হয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ।তিনি আরো বলেন পাপুলের সদস্য পদ বাতিলের জন্য তিনি আইনগত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।
মানব পাচারের দায়ে বর্তমানে কুয়েতে গ্রেফতার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে জানিয়েছিলেন দুই দেশের নাগরিক হলে তার সদস্য পদ বাতিল হবে।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংসদ সদস্য পদ থাকা/না থাকা নিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে স্পষ্ট রয়েছে। বিদেশের মাটিতে সাজা হলে কী ব্যবস্থা হবে সেটাও আইনে রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে আলাদা করে ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। তবে তিনি বলেন, তার বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি। এখনও বিচারকার্য শুরু হয়নি,বিচারকার্য কি সাজা হয়— তার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।