মামুনুর রশীদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি || মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মো. অলিউর রহমান। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকে এ ঘোষনা দেন। এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, সাবেক মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র প্রার্থী মো. অলিউর রহমান লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নির্বাচনে থাকা মানে হামলা-মামলা ও সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া। সাংবাদিক সম্মেলনে অলিউর রহমান অভিযোগ করেন, দলের সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের ফোনে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের পরিবেশ ২৪ ঘণ্টার ভেতর ফিরিয়ে আনার আল্টিমেটাম দেন অলিউর রহমান ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
ঐ রাতে কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানসহ সিনিয়র নেতাদের আলোচনা হয়।
মৌলভীবাজার থেকে কেন্দ্রকে জানানো হয়- নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নির্বাচনে থাকা মানে হামলা-মামলা ও সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া। এরই প্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে মৌলভীবাজার পৌর সভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী, জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননন্দিত বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব ফজলুর রহমান দলের সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের ফোনে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও সম্পুর্ন মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করে একদিনের মাথায় বিএনপির ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মো. অলিউর রহমান এর বয়কট করাটা অবশ্যই দূঃখজনক। তিনি বলেন ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর বিগত দিনে কোনো প্রচার প্রচারণা লক্ষণীয় ছিলো না আপনারা দেখেছেন প্রতিদিন আমাদের উঠান বৈঠক মিটিং মিছিল প্রচার প্রচারণা এবং নৌকা পক্ষে গণ জোয়ার দেখে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো সীদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমার ধারণা। তিনি বলেন গত পাঁচ বছরে রাস্তাঘাট প্রশস্থকরণ ও নির্মাণকাজ, কোদালী ছড়া, পৌর ঈদগাহ, সুপেয় পানি, প্রবীণাঙ্গন ইত্যাদি ক্ষেত্রে পৌরসভায় আমার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও জনগণের পাশে ছিলাম বলেই পৌরসভার নাগরিক আমার পক্ষে সতস্ফুতভাবে সাপোর্ট করেছেন। অতীতের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামী দিনের পৌরসভাকে একটি তিলোত্তমা মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করার পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া মৌলভীবাজার বাসীর দীর্ঘ দিনের সমস্যা দূরীকরণে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ ক্রমে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এবং জেলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার দাবী বাস্তবায়নে সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে তদবিরকে জোরদার করার প্রতিস্রতি ব্যাক্ত করেছেন।