বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম (মুজিব বর্ষ-২০২০) উপলক্ষে এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেড এর উদ্যোগে “স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেন। এ আয়োজনের সার্বিক সহোযোগিতায় ছিলেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন’।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থপনা পরিচালক জনাব অধ্যাপক ডা. এহ্সানুল কবির জগলুল। তিনি আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, (মুজিব বর্ষ-২০২০) উপলক্ষে আজ ২০ শে আগস্ট আমরা সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছি। এতে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,কর্মচারীরা প্রায় (১০০ ব্যাগ) রক্ত প্রদান করবেন। আমি এ মানবিক কাজের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,কর্মচারীদের এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কে ধন্যবাদ জানাই।
বক্তব্য দেওয়ার মাঝে ১৫ই আগস্টের স্মৃতি চারনায় তিনি বলেন, ১৫ই আগস্ট বাংলার ইতিহাসের কলঙ্কময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা ধানমণ্ডির ৩২ নাম্বারের বাসভবনে জাতির জনক কে সপরিবারে হত্যা করে, এ হত্যাকান্ডে প্রাণ হারায় জাতির জনক সহ ওনার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র রাসেল সহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি জাতির জনকের অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান। রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় জাতির জনকের দুকন্যা আমদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করার কারনে প্রাণে বেঁচে যায়।
তিনি আরো বলেন, এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়,একটাই দাবী আমরা জাতির জনক সহ ওনার স্ব-পরিবারে হত্যার বিচার দেখেছি,এখনো যারা বিদেশের মাটিতে লুকিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে ঘাতকদের বিচারের রায় কার্যকর করে এ জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন।
রক্ত দান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগীয় প্রধান,অফিসার্স ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন এবং শ্রমিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ। এ আয়োজনে এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেড কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে প্রায় (১০০ব্যাগ) রক্ত প্রদান করেন।