সর্বপ্রথম ডিসেম্বর মাসে চিনে প্রথম আত্মপ্রকাশ এক মারণ ব্যাধি ভাইরাসের। খুব দ্রুত সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস নামে। সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩,১২০,২০২ জন। তারই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,৭১৩,২৫২ জন। কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮০৩,২০১ জনের। মোট আক্রান্ত ও মৃতের নিরিখে বিশ্বের এক নম্বর স্থানে রয়েছে আমেরিকা। তারপরেই তালিকায় নাম রয়েছে ব্রাজিলের। আক্রান্তের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারতের নাম। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন-এর (WHO) তরফে জানানো হল আগামী ২ বছরের মধ্যে করোনার উপর নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে পুরো বিশ্বে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস এদিন ১৯১৮ সালের মারণ স্প্যানিশ ফ্লু-এৎ সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টেনে বলেন, ‘আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমাদের কিছু গ্লোবালাইজেশন, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির মতো কিছু সমস্যা রয়েছে, তবে ১৯১৮ সালের তুলনায় আমাদের হাতে আরও উন্নতমানের প্রযুক্তি রয়েছে। আশা করছি দু’বছরের কম সময়ের মধ্যেই করোনা প্যানডেমিকের থাবা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব।’ এখানেই শেষ নয়। হু-এর তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরার যে নিয়মবিধি রয়েছে, ১২ বছরের বেশি বয়সীদেরও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
অন্যদিকে, হঠাৎ করেই ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে ইউরোপের বেশ কিছু দেশে। পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমান জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালিতে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে সরকারের তরফে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ প্রবণ অঞ্চলে বসবাসকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে বাড়ি থেকে না বেরোতে। গত ২৪ ঘন্টায় স্পেনে নতুন করে ৮ হাজার মানুষের শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনা সংক্রমণ। ফ্রান্সের অবস্থাও ভালো না। মে মাসের পর ফের পর পর দু’দিন নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৪ হাজার।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হু-এর তরফে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে কিন্তু আন্তর্জাতিক ট্র্যাভেল বরাবরের মতো বন্ধ হতে পারে না। সব দেশকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে জানিয়েছিল হু। আবার কিছুদিন আগেই ডব্লিউএইচও-এর মহাপরিচলক টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস জানিয়েছিলেন কিছু দেশের রাষ্ট্রনেতা করোনা সংক্রমণ রোধে পুরোপুরি ব্যর্থ। এমনভাবেই চলতে থাকলে, অদূর ভবিষ্যতে করোনা থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না ডব্লিউএইচও-র পরিচালক। তাঁর মতে বহু দেশই ভুল পথে এগোচ্ছে এবং সংক্রমণ রোধে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারছে না।