মো.ইদুল ফিতর,নরসিংদী প্রতিনিধি: শুধু অর্থ সম্পদ বা পতিপত্তি আর ক্ষমতা থাকলেই জনসেবা করা যায় না। জনসেবা করার জন্য প্রয়োজন মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সাহসিকতা দেশপ্রেম ও সুন্দর একটি মন। জনসেবার ইচ্ছা থাকলে একজন মানুষ অনেক টাকার মালিক না হয়েও তার শ্রম ও মেধা দিয়ে জনসেবা করতে পারে। কিন্তু সুন্দর মনের অধিকারী না হলে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েও জনসেবা করা সম্ভব নয়। তেননি একজন মানুষ হচ্ছেন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবার মরহুম নেওয়াজ আলী মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য আলহাজ্ব মাহফুজুল হক টিপু। তিনি দিপু ট্রেডার্সসহ একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। যিনি মানব সেবার পাশাপাশি আওয়ামীলীগকে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, মাহফুজুল হক কোন জনপ্রতিনিধি নন, একজন সাধা মনের মানুষ। যার চিন্তা চেতনা শুধু মানব সেবা করা।
মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন ক্ষুদা দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করা। সে লক্ষে মাহফুজুল হক টিপু পলাশের সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপের পাশে থেকে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে এলাকার শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে তিনি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তাছাড়া দারিদ্র বিমোচনে এলাকার গরীব, দু:খী অসহায় শত শত মানুষকে কর্মসংস্থান, দারিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, প্রতিবন্ধীদের আর্থিক সহায়তা, এলাকার অসহায় গরীব মেয়েদের বিবাহ, ছেলেদের সুন্নতে খাৎনার খরচ বহন করে থাকেন।
শিক্ষানুরাগী মাহফুজুল হক টিপু পলাশ এবং শিবপুর দুটি উপজেলাতেই তার সেবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি পলাশের চলনা উচ্চ বিদ্যালয়, চলনা ফাজিল মাদ্রাসা, শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ, চরসিন্দুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শিবপুরের মৈশাদী এতিম খানা ও মাদ্রাসা, চরখুপি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপশি শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছেন। এমনকি কোন কোন প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে ভবন নির্মাণ করে দিয়ে এলাকায় মানব সেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এলাকাবাসী তার এই নিঃস্বার্থ সেবা পেয়ে খুবই আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ। কিন্তু কেউ কেউ তার এই মানব সেবা সহ্য করতে পারছেন না। ফলে একটি মহল বিশিষ্ট এই সমাজ সেবক টিপুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।