খালেদা জিয়া সন্ত্রাসীদের বিচার না করার ইনডেমনিটি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে বহু মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আবার সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটিও দিয়েছিলেন। রোববার (১৬ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। ঠিক যেভাবে তার স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। জিয়ার ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের কথা আজ সবাই বলে- সবাই ভুলে গেছে যে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে বহু মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের যাকে যেখানে পেয়েছে নিয়ে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যার বিচার হবে না বলেও ইনডেমনিটিও খালেদা জিয়া দিয়ে গেছেন। জিয়াউর রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন, আর তিনি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে নির্বিচারে মানুষ হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়ে গেছেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, খুলনার যুবলীগের মাসুমকে,শেখ হেলালের আপন মামাতো ভাই, তাকে যেভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল, তাতে তার মৃত্যু হয়। এরকম শত শত লোককে হত্যা করার উদাহরণ আছে। আমাদের রিসার্চ সেন্টার দখল করে নেয়। ১৫টি কম্পিউটার, বই, ৩০০ ফাইল, নগদ টাকা সবকিছু লুট করে সিল করে দেয়। যেন আমরা সেখানে বসে কাজ করতে না পারি। একটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর পথ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে।