স্পষ্টবাদী নিউজডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জ্জনে কোনো শোভাযাত্রা করা যাবে না। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করন, হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। যথাসম্ভব পূজা মণ্ডপ সংখ্যা কমিয়ে সীমিত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। রবিবার (৪ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় পূজার উদযাপনের ক্ষেত্রে কী কী নির্দেশনা মানতে হবে সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসন্ন দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় সিদ্ধান্তের পর সংশ্লিষ্টদের কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, পূজা মণ্ডপে প্রবেশের সময় করোনার প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূজা মণ্ডপের সংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়ে সীমিত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেশব্যাপী সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতাদেরকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা মোকাবিলায় মোবাইল ডিউটিতে থাকবে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোনও শোভাযাত্রা করা যাবে না।এতে আরও বলা হয়, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে হবে। জনসমাগম সীমিতকরণসহ অন্যান্য নির্দেশনাবলী মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। পূজা মণ্ডপ ব্যবস্থাপনায় পূজা উদযাপন কমিটি স্থানীয় প্রশাসনের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবেন। জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এর সেবা নিতে পারবেন পূজা উদযাপন কমিটি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, সুরক্ষাসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, ধর্মসচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা সদর, পুলিশ মহাপরিদর্শক, মহাপরিচালক কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বিজিবি, র্যাব, এনএসআই, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।